একটি বই, যা সবার সঙ্গী হয়ে উঠেছে আজ, তারই কথা আজ ব্লগে। উদ্ভাস-এর তরফে।
আজ থেকে ঠিক আট বছর (২০০৬) আগে উদ্ভাস একটি বিচিত্রধরণের কাজে ব্রতী হয়েছিল। প্রতিদিন সকালে উদ্ভাসের বন্ধুরা জগৎবরেণ্য শিল্পীদের এক-একটি অসামান্য উক্তি পেতেন তাঁদের মোবাইল ফোনে এস এম এস-এর মাধ্যমে। এইভাবে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কয়েকশো মানুষ নিয়মিত শিল্পীদের চিন্তাধারার সঙ্গে পরিচিত হবার সুযোগ পেয়েছিলেন। আমরা চেয়েছিলাম আমাদের বন্ধুরা শিল্পীদের অনুভূতিকে তাঁদের নিজেদের দিনযাপনের সঙ্গী করুক। আমাদের এই প্রচেষ্টা সমাজের নানাস্তরের ব্যক্তিদের আনন্দ দিয়েছিল। স্বনামধন্য সঙ্গীতশিল্পী কবীর সুমন আজকাল পত্রিকায় ‘মনমেজাজ’-কলমে (১৩ মার্চ ২০০৬) উদ্ভাসের এই কীর্তির কথা জানিয়েছিলেন উচ্ছ্বাসের সঙ্গে। তিনি লিখেছিলেন ‘‘… বহরমপুরের কয়েকজন শিল্পী এস এম এস করে তাঁদের পরিচিতদের পাঠিয়ে চলেছেন ছবি আর রঙের কথা, শিল্পীদের উক্তি। … আজকের এই ঝকমারির যুগেও, কেউ কেউ পেয়ে যাচ্ছেন নন্দলাল বসুর কথা : ‘আর্টের বিষয় আর আর্টিস্টের মন, ঠিক যেন বস্তু আর আলো।’ — ‘আমাদের হৃদয় জুড়ে এতসব ছবির গান, তুলির ইশারা — এইসব দিয়ে মানুষকে সাজানোর সাধ হয়।’ এই সাধ ‘উদ্ভাস’-এর। এঁদের শিল্পকর্ম ও উদ্যোগ সম্পর্কে একটু উৎসাহী হলে, কে বলতে পারে, আজকের দিনেও একটু চন্দ্রাহত হওয়ার সাধ জাগবে হয়ত কারুর কারুর।’’
এস এম এস আকারে পাঠানো শিল্পীদের সেইসব অনন্য উক্তিগুলির একটি সুনির্বাচিত সংকলন ‘শিল্পীর কথামালা’ নামে প্রকাশিত হয় ২১ মার্চ ২০১০ সালে উদ্ভাস আয়োজিত চিত্র উৎসবে। ৩২ পৃষ্ঠার সেই ছোট্ট বইটির পাতায় পাতায় সংকলিত হয়েছিল তেইশজন চিত্রশিল্পী ও ভাস্করের উক্তি, তার সঙ্গে ছিল উদ্ভাসের পাঁচ শিল্পীবন্ধুর আঁকা শিল্পীদের প্রতিকৃতি। সব মিলিয়ে যে কোনও শিল্পপ্রেমী পাঠকের চিরসঙ্গী হবার মতো এক আশ্চর্য আয়োজন। বইটি প্রকাশের পর কেটে গেছে চারটি বছর। এখনও এই বইটির সামান্য কয়েকটি কপি উদ্ভাসের সংগ্রহে রয়ে গেছে। যাঁরা এটি পেতে আগ্রহী তাঁরা যোগাযোগ করতে পারেন আমাদের সঙ্গে। শুধু আপনার নাম ও ফোন নম্বরটি লিখে মেল করুন এই ঠিকানায় — udvasart@gmail.com। আমরা আপনার ডাকের অপেক্ষায়।
♦ শিল্পীর কথামালা-র প্রচ্ছদ এবং ভিতরের পাতার ছবি।